নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুল নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে মাসিক বেতন ও পরীক্ষার ফি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান একাধিক অভিভাবক।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, নেই সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা। এতে কোমলমতি শিশুদের করোনা ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে মাসিক বেতন ও পরীক্ষার ফি নেয়া হচ্ছে।
সরজমিনে উপজেলার ঘারুয়ায় অবস্থিত আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুলটিতে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে স্কুলের রুমে এক বেঞ্চে তিনজন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
স্কুলে নেই কোনো হ্যান্ড স্যানেটাইজারের ব্যবস্থা, নেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আমরা অনুরোধ করার পরও স্কুলে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০ টাকা ও গত দুই মাসের বেতন বাবদ ৪০০ টাকা নেয়া হয়েছে।
তবে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামাল শিকদার। তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমাদের স্কুল বন্ধ।
আমরা শিক্ষার্থীদের কোনো পরীক্ষা নিচ্ছি না, শুধুমাত্র অ্যাসাইনমেন্ট নিয়েছি। আমরা সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলছি।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুন্সী রুহুল আসলাম বলেন, করোনাকালীন সময়ে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেয়ার বিধান নেই। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।