
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি এলাকায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় শিক্ষার্থী, রোগী সহ এক গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। পূর্ব নৈকাঠী থেকে পশ্চিম নৈকাঠী বাইপাস রাস্তা এটি। এই রাস্তাটি থেকে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ চলাচল করে। রাস্তাটির পূর্ব মাথায় নৈকাঠী বাজার,১২ নং নৈকাঠী নম:পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা রয়েছে। পশ্চিম মাথায় ১১ নং পালবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। রাস্তাটি নৈকাঠী বাজার জয়নাল মাস্টারের বাড়ির সামনে দিয়ে শাহিন মাস্টার বাড়ি ভায়া হয়ে পশ্চিমে পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে মিলেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বর্ষা মৌসুমে সড়কে কাদাপানি থাকায় স্কুলে অনিয়মিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা। রোগী যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই সড়ক যেনো মরণফাঁদ। কাঁচা সড়কে দুর্ঘটনার ভয়ে চলাচল করতে চায় না কোনো যানবাহন, ফলে বিলম্বিত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।রাস্তাটি খালের পাড় থেকে বয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন।
সহকারী শিক্ষক মো:শাহীন বলেন, আজ পর্যন্ত এখানে উন্নয়নের কোনো প্রকার ছোয়া লাগেনি। বর্তমানে রাস্তাটির অর্ধেকের বেশী জায়গা ভেঙ্গে গেছে। কিছুদিন পরে রাস্তাটির বৃহত্তর অংশই খালে বিলীন হয়ে যাবে । ভাঙ্গন রোধ সহ রাস্তাটি পাঁকা করা একান্তই জরুরি।
স্থানীয় বাসিন্ধা রবিন হালদর, মানিক দিকদার ও হিরন সিকদার বলেন, এই গ্রামের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদাপানি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে চায় না, এতে এলাকার শিক্ষাব্যবস্থা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে।এলাকার গর্ভবতী মহিলা ও অসুস্থ রোগীদের অবস্থা খুবই করুণ। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে যথাসময়ে যানবাহন পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। এতে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় চরম বিঘ্ন ঘটছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এই রাস্তার কোনো উন্নয়ন হয়নি। রাস্তাটি দিয়ে একটি মসজিদ,দুইটি স্কুল ও একটি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা যাওয়া আসা করে। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ থেকে ছয়শত মানুষ এই পথে যাতায়াত করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ নিরসনে দ্রুততম সময়ে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানায় তারা ।
এ বিষয়ে সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মাঈনুল হায়দার নিপু জানায়,এই রাস্তাটির আইডি নম্বর রয়েছে,এটি এলজিইডির আওতায়।আমাদের পরিষদের বরাদ্ধ থেকে এটি করা সম্ভব নয় কারন রাস্তাটি প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা।আমরা বিগত সরকারের সময় এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য তালিকা এলজিইডিতে পাঠিয়েছি কিন্তু কি কারনে রাস্তাটি পাশ হয়নি তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার জানায়,অতি শীগ্রই আমরা উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে এ ধরনের রাস্তার তালিকা পাঠাবো। এই রাস্তাটি সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবো।