
ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি ::: ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার ১নং চেচরীরামপুর ইউনিয়নের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সহ-সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. নজরুল ইসলাম ফোরকান মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল পৌণে ৯ টার দিকে বানাই বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পে বালু নিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে গত ৯ আগস্ট মো. তোকাব তালুকদারকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ রয়েছে ফোরকান মেম্বারের বিরুদ্ধে।
এ সময় আহত হন দেলোয়ার তালুকদার, ফারুক তালুকদার, শাহারিয়া তালুকদার ও সিফাত তালুকদার। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তোকাব তালুকদারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর তোকাব তালুকদারের ভাতিজা মো. সাখারিয়া তালুকদার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আল আমিন জানান, মামলার পর থেকে ফোরকান মেম্বার পলাতক ছিলেন। শুক্রবার তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, নজরুল ইসলাম ফোরকান তালুকদারের বিরুদ্ধে অতীতে ছাত্র আন্দোলনে লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী তহবিল আত্মসাৎ, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা গ্রহণ, জমি দখল ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পুলিশ তদন্ত করছে।
অন্যদিকে ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের রাজপাসা গ্রামের খলিলুর রহমান শিকদারের পরিবার দাবি করেছে, খলিলুর রহমানের স্ত্রী ও কন্যাকে জোরপূর্বক নিয়ে আসা এবং তাদের ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগও রয়েছে ফোরকানের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগও তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি—বহুদিন ধরে বিভিন্ন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারেননি। ফোরকান মেম্বারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।