
আন্তর্জাতিক ডেস্ক// পর্তুগাল সরকারের আমূল বদলে চলা নীতিমালা ও সমাজের ভ্রান্ত ধারণা দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে। সম্প্রতি পর্তুগালের লিসবন মহানগরের মেট্রো স্টেশনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যাওয়া আলী ছিলেন শান্তিপ্রিয় একজন সাধারণ অভিবাসী।
আলী পর্তুগালে একা বসবাস করতেন। তিনি কয়েকদিনের জন্য খাবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে গিয়েছেন কিন্তু তার খাবার সতেজ থাকলেও তার দেহ নিথর হয়ে পড়ে আছে মর্গে। স্বপ্ন ছিল রেসিডেন্ট কার্ড নবায়ন করতে পারলে আগামী ডিসেম্বরে দেশে গিয়ে বিয়ে করবেন।
তিনি কখনো উচ্চস্বরে কথা বলতেন না, তবে রেসিডেন্ট কার্ড নবায়ন করতে না পারার আক্ষেপের কথা জানিয়েছিলেন একই ঘরে বসবাস করা জাকির হোসেন নামের এক স্বদেশীকে। রেসিডেন্ট কার্ড নবায়নের চরম মানসিক চাপ নিয়ে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এ ধরনের ঘটনার পেছনে শুধু ব্যক্তিজীবনের সংকট নয়, বরং পর্তুগালের অভিবাসী আইননীতির পরিবর্তন এবং সামাজিক ঘৃণা বড় ভূমিকা রাখছে। গবেষণা ও সংবাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দীর্ঘসময় ধরে পর্তুগালে বসবাসরত অভিবাসীরা অতিরিক্ত মানসিক চাপ, আর্থসামাজিক উদ্বেগ ও ভীতি অনুভব করছেন।
এই চাপকে আরও স্পষ্ট করে দেয় পর্তুগালে ঘটে যাওয়া আরেকটি ঘটনা। গত ১৩ জুন ফেজাও শহরের আলমাদা জেলায় আততায়ীর গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম নিহত হন। তার গর্ভবতী স্ত্রীর পাশাপাশি দুই কন্যা সন্তান (১০ ও ১৫ বছর) ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী।
লাল মিয়া নামের এক অভিবাসী হঠাৎ স্ট্রোক করে লরেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি বায়োমেট্রিক দিয়ে দীর্ঘদিন রেসিডেন্ট কার্ডের অপেক্ষায় ছিলেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভিবাসীদের মধ্যে অতিরিক্ত উদ্বেগ, পারিবারিক চাপ ও আর্থিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ঘটনা নির্দেশ করে পর্তুগালের অভিবাসীরা শুধু অর্থনৈতিক প্রয়োজনেই নয়, মানসিক নিরাপত্তার অভাবের মধ্যেও টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন।
ইউরোপিয়ান কমিশন অ্যাগেইনস্ট রেসিজম অ্যান্ড ইনটলারেন্সের (ইসিআরআই) একটি বক্তব্য বলছে, যদিও পর্তুগালে ঘৃণাত্মক বক্তব্যের ঘটনা সম্পর্কে কোনো সরকারি, বিচ্ছিন্ন তথ্য নেই, নাগরিক সমাজ সংস্থা এবং অন্য স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনে দেশে (পর্তুগালে) ঘৃণাত্মক বক্তব্যের তীব্রতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা মূলত অভিবাসী, রোমা, এলজিবিটিআই এবং কৃষ্ণাঙ্গদের লক্ষ্য করে বলে মনে হচ্ছে।
মাসুম বিল্লাহ ২০১৯ সালে পর্তুগালে এসেছেন। পেশায় তিনি একজন নাবিক। পরিকল্পনা ছিল পর্তুগাল যেহেতু উপকূলবর্তী একটি দেশ, সুতরাং এখানে খুব সহজেই নাবিকের পেশায় যোগ দিতে পারবেন। কিন্তু পর্তুগিজ ভাষায় দক্ষতা ও সঠিক তথ্য না থাকার কারণে অধিমেরায় কৃষিকাজ দিয়ে পর্তুগালের জীবন শুরু করেন। পরে পর্তুগিজ ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছেন এবং নাবিক পেশায় ফিরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট অর্জন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমনকি সমুদ্রের টানে বর্তমানে তিনি সেতুবাল জেলার সমুদ্র উপকূলে একটি অ্যাকুয়াকালচার (মৎস্য উৎপাদনকারী) কোম্পানিতে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অন্য দেশকে বেছে নিইনি। পর্তুগালের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পর্তুগিজদের সুন্দর মনোভাবের কারণে এ দেশ বেছে নিয়েছি। স্ত্রী ও সন্তানসহ নিজের এবং পর্তুগালকে নিয়ে নতুন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছি। তখনই এমন একটি মর্যাদাহীন পরিস্থিতির শিকার হয়েছি যা ভবিষ্যতকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। বুঝতে পারছি না এর শেষ কোথায়। এক দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্যে জীবন অতিবাহিত করছি।
দীর্ঘ অপেক্ষা ও আইনি জটিলতা
অপরদিকে পর্তুগালের অভিবাসী নীতিগুলোর পুনঃপরিবর্তন এবং প্রশাসনিক জটিলতা দীর্ঘসূত্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশটি গত বছরই অভিবাসন সংস্থা (আইমি) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পুরোনো এসইএফ সংস্থাকে বিলুপ্ত করেছে। এর ফলে হাজার হাজার আবেদন অনুমোদনের ‘মেনাস্তিফেসাঁ দে ইন্টারেস’ বা আগ্রহ প্রদর্শন সিস্টেমের অধীনে ঝুলে থাকায় বর্তমানে প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজারটি ঝুলন্ত ‘আগ্রহের প্রকাশ’ মামলা পর্যালোচনা করে অর্ধেক অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে। মাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার রেসিডেন্ট কার্ড গ্রহণ করা শুরু করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার অভিবাসীকে ডকুমেন্ট বাতিল করে দেশ ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ডকুমেন্ট পর্যালোচনার বিষয়ে এত বিশাল সংখ্যক আবেদন প্রক্রিয়াকরণের ফলে বিবিধ দপ্তর এবং নিয়মিত আপডেটে ছন্দপতন হয়েছে। এমনকি আবেদন পর্যালোচনয় সব আইনের প্রয়োগ না করার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অভিবাসী সংগঠনগুলো। যা তিন বছর বেশি সময় ধরে অপেক্ষমাণ অভিবাসীদের ভবিষ্যতকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।
সাজ্জাদ নামের এক বাংলাদেশি অভিবাসী ২০২১ সালের পর্তুগালে এসেছিলেন। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে বেজা আইমাতে বায়োমেট্রিক ডাটা সাবমিট করে বর্তমানে রেসিডেন্ট কার্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি জানান, প্রায় চার বছর থাকার পরও তার অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না। এমনকি পর্তুগিজ অভিবাসন অধিদপ্তর (আইমা) এ বিষয়ে কোনো ধরনের সদুত্তরও দিচ্ছে না। এর মধ্যে বাবা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন, তার লাশটা দেখার জন্য বাংলাদেশে যেতে পারিনি। অপরদিকে মা অসুস্থ, জানি না মায়ের সঙ্গে শেষ দেখা হবে কি না। নতুন স্বপ্নের জন্য জীবনের আবেগগুলোকে এলোমেলো করে ফেলেছি। শুধু তাই নয়, এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনভাবে অভিবাসীদের অপরাধী করে তোলা হচ্ছে, যা মানসিক যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে তুলছে। যেন একটি দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি।
হঠাৎ করেই নতুন আইনে ‘মেনোফিস্তাসাঁও দে ইন্টারেস’ বাতিল হওয়ায় হাজার হাজার আবেদনকারী যারা পর্যটক ভিসায় এসেছিলেন, তাদের আবেদনের অনুমোদন আটকে গেছে। এমনকি এর মধ্যে অনেক অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু সন্তানসহ পরিবারও রয়েছেন। এই রীতির পরিবর্তনে অনিয়মিত অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কর্মসংস্থান ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিবাসীরা শোষণের শিকার হচ্ছেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকারগুলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
রিতা( ছদ্মনাম) সন্তানসহ ২০২৪ সালের জুনে পর্তুগালে এসেছেন। কিন্তু সময় স্বল্পতার জন্য সব ডকুমেন্ট জোগাড় করতে না পারায় মেনোফিস্তাসাঁও দে ইন্টারেস সাবমিট করতে পারেননি। তিনি একটি পর্তুগিজ কোম্পানিতে কাজ করছেন কিন্তু আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের আগে পর্তুগালে প্রবেশ করলেও তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
নতুন আইন আর বিধানগুলোও কঠোর আকার নিচ্ছে। ২০২৫ সালের জুনে পর্তুগাল সরকার নাগরিকত্ব আইন ও অভিবাসন নীতিতে সংস্কারের প্যাকেজ প্রস্তাব করে। তাতে বলা হয়েছে, সাধারণ আইনশৃঙ্খলা মেনে পর্তুগালের নাগরিকত্ব পেতে বসবাসের মেয়াদ দ্বিগুণ করে ১০ বছর (পর্তুগিজ ভাষাভাষী দেশের নাগরিকদের জন্য ৭ বছর) করতে চায়। নাগরিকত্বের জন্য ভাষাগত দক্ষতা, স্থানীয় সংস্কৃতি ও নাগরিক অধিকার-দায়িত্ব নিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। এছাড়াও বর্তমানে বসবাস করেন এমন ব্যক্তিদের স্বজনদের পুনর্মিলনের জন্য ন্যূনতম দুই বছরের বৈধ বসবাস বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে, অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনের জন্য আগের থেকে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও ঘৃণা
আইন-পদ্ধতির যন্ত্রণা যতই বাড়ুক, তার চেয়ে বেশি অস্বস্তিকর হচ্ছে দলে দলে অজুহাতবিহীন ঘৃণা ও বিদ্বেষের ছোঁয়া। সাম্প্রতিক সময়ে কট্টর ডানপন্থি রাজনৈতিক দলের উত্থান এবং প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিবাসীদের নির্দিষ্ট করে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা অভিবাসীদের মানসিকভাবে মারাত্মক ঝুঁকের মধ্যে ফেলছে। পর্তুগালের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গেছে, গত ২০২০ সালে ঘৃণা ও সহিংসতার প্রতি উদ্বুদ্ধ হওয়ার সংখ্যা যেখানে ছিল ১৩২, তা পাঁচ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২১, যা ২১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি বিদেশি শ্রমিকদের বা অভিবাসীদের নিয়ে ইতিবাচক বার্তা প্রচারণা নিয়ে সাংবাদিকদেরও কট্টর ডানপন্থি গ্রুপ দ্বারা দোষারোপ করা হয় এবং সাংবাদিকদের ‘জনশত্রু’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে কিছু পর্তুগিজ গণমাধ্যমে বিভিন্ন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্ট ও চিত্র অভিবাসীদের মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি স্থানীয় পর্তুগিজ নাগরিকদের অভিবাসীদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা উসকে দিচ্ছে।
বর্তমানে অভিবাসীরা আইনের জাল-জটলা আর নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, প্রতি বছর রাজধানীর আইমা অফিস ঘেরাও করে প্রতিবাদের ঢেউ ওঠে– কিছুদিন আগে পাঁচ শতাধিক অভিবাসী লিসবনে নিয়মিত হওয়ার দাবিতে স্লোগান নিয়ে মানববন্ধন করেন। তাদের নেতারা বলেন, আমরা চাই সরকার আমাদের আবেদন দ্রুত অনুমোদন করুক এবং ন্যায্য সুযোগ দিক।
এশিয়া থেকে আগত কেউ বলেছিলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যদের এখানে ডিঅক্সিডাইজড (সুশৃঙ্খল) জীবন দিতে চাই, তবে এত নিয়মকানুন এবং ঘৃণাত্মক মনোভাব আমাদের বিধ্বস্ত করে দিচ্ছে।
শ্রমিক সংগঠনের রিপোর্টেও উঠে এসেছে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা বারবার দীর্ঘ অপেক্ষা ও অসৎ আচরণের শিকার হচ্ছেন।
পর্তুগালে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির জন্য অভিবাসীদেরকে দায়ী করে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়। কিন্তু পর্তুগালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান জুডিশিয়ারি পুলিশের প্রধান লুইস নেভেস চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির জাতীয় সংসদের সাংবিধানিক বিষয়, আইন, স্বাধীনতা এবং গ্যারান্টি সম্পর্কিত কমিটিতে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে উপস্থাপন করেছিলেন যে, অপরাধ বৃদ্ধির সঙ্গে অভিবাসীরা সংশ্লিষ্ট নয়, বরং অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
এক কথায়, অভিবাসী আইনের বারবার পরিবর্তন, নবায়ন প্রক্রিয়ার জটিলতা, পরিবারের পুনর্মিলনের কঠোর শর্ত এবং নাগরিকত্ব অর্জনে আরও দীর্ঘ নিয়মিত আবেদনের মেয়াদ – এসবই পর্তুগালে বসবাসরত অনেকের জীবনকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অলীক গল্প ছড়ানো, কুচক্রী প্রোপাগান্ডা প্রচার এবং অবিশ্বাস্য হিংস্রতার তথ্য ছড়িয়ে পড়ার ফলে অভিবাসীদের ওপর স্নায়ুবিক চাপ সবিশেষ বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন কঠোর বাস্তবতায় মনে রাখা উচিত পর্তুগালের সভ্যতার ইতিহাস, এটি বহু জাতির মানুষের স্বপ্নের দেশ, যেখানে শরণার্থী-অভিবাসীরা দেশ গঠন করেছে। তাই বর্তমান অভিবাসন নীতির পরিবর্তন যেন মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। নতুন আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অভিবাসীদের নেতৃত্ব প্রদানকারী সংগঠনগুলোর মতামত গ্রহণ, আলোচনা ও বিদেশি নাগরিকদের অপেক্ষা প্রশমিত করতে দ্রুত সুবিচারমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অক্ষমতার দায়ভার অভিবাসীদের ওপর চাপিয়ে নেতিবাচক প্রচারের বিষয়টি নাগরিকদের বোধগম্য করতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, অভিবাসীরা কেবল সংখ্যার হিসাব নয়, তারা মানুষ। তাদেরও স্বপ্ন আছে, পরিবার আছে, সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার আছে। যদি এ অব্যবস্থা, বৈষম্য ও উপেক্ষা চলতেই থাকে, তাহলে হয়ত আগামীকাল আরেকজন আলীর খবর লেখা হবে। কিন্তু তখন হয়ত অনেক দেরি হয়ে যাবে।