বিসিসি নির্বাচন: সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কায় ৫ মেয়র প্রার্থী


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : মে ২৫, ২০২৩, ১:৩১ পূর্বাহ্ণ /
বিসিসি নির্বাচন: সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কায় ৫ মেয়র প্রার্থী

ফাহিম ফিরোজ, বরিশাল : বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাঁচ মেয়র প্রার্থী। তবে আওয়ামীলীগের দাবী বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীণ সুষ্ঠু-সুন্দর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে মনে করেন তারা।

১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের মাঝে বাড়ছে উৎকণ্ঠা। শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন প্রার্থীরা। পাশাপাশি ভোটারদের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক। নগরীর ভোটরদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোট গ্রহণ নিয়ে তারাও শঙ্কা প্রকাশ করছেন। গতবারের মতো ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়েও রয়েছেন শঙ্কায়।

জানাগেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাসদ নেত্রী ডা. মণীষা চক্রবর্তী ক্ষমতাসীন দলের জাল ভোট দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছিলেন। এবারের নির্বাচনেও কারচুপি হতে পারে জেনে বিসিসি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীণ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ইভিএমের মাধ্যমে এবার সুক্ষ্য চুরি করবে তারা।

নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের উপর শতভাগ আস্থা রয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে সঠিক-সুন্দর ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ হবে বলে আশা করেন তিনি।

জাতীয় পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীণ সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। পাশাপাশি ভোটারদেরও একই কথা আমরা কি ভোট দিতে পারব। তিনি ইভিএম বালিত এবং ম্যাজিষ্ট্রেটি ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের দাবী জানান।

অপর মেয়র প্রার্থী মোঃ আলী হোসেন হাওলাদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তবে ইভিএম না থাকলে আরও ভালো হতো। তাছাড়া এখানকার ভোটাররাও ভালো ভাবে বোঝে না ইভিএম।

জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি আরও কঠোর হয় তবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণের বিষয়টি ভোটারদের ভালো ভাবে জানাতে হবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন বলেন, বর্তমান সরকার ও তার অধীনস্থ নির্বাচন কমিশনের অধীণে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তারা দুদককে দিয়ে আমাকে ডেকে পাঠায়। আমাকে নিয়েও তারা চিন্তিত। এছাড়া ইভিএমের মাধম্যে সঠিক ভোট প্রদান সম্ভব নয়। আমি এ নির্বাচনের শেষ দেখে ছাড়বো।

এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম বলেন, সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিয়ে আমারা শঙ্কিত। শঙ্কায় রয়েছেন ভোটাররাও। তাদের বক্তব্য হুজুর ভোট দিতে পারবো কিনা। দিতে পারলে গ্রহণ অনুযায়ী ফলাফল হবে কিনা?

এ ব্যাপারে বিসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পরে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মাঝে যে প্রশ্ন সে বিষয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা সেমিনার করবো। পাশাপাশি প্রার্থীদেরও আমরা বিষয়টি বুঝিয়ে দেবো। যাতে করে তারা ভোটারদের ইভিএম সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ জুন সিটি নির্বাচন। আজকে প্রত্যাহারের শেষ দিন। কালকে প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা।