মালিক কর্তৃক বহিষ্কার, শ্রমিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান ও সার্ভিস বেনিফিট কি ? মৃত্যু জনিত ক্ষতিপূরণ এর নিয়ম


ebdn প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২, ৭:২৭ অপরাহ্ণ /
মালিক কর্তৃক বহিষ্কার, শ্রমিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান ও সার্ভিস বেনিফিট কি ? মৃত্যু জনিত ক্ষতিপূরণ এর নিয়ম
সাইফুল্লাহ সিরাজীঃ গার্মেন্টস কারখানায় জব করতে হলে আপনাকে কিছু বিষয় জানতে হবে। সেই সব বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা ।
আমরা সার্ভিস বেনিফিট বলতে কি বুঝি? সার্ভিস বেনিফিট কিভাবে পাবো?? আমরা জব থেকে অবসান নিতে চাইলে তা কিভাবে করতে হবে। এবং আমাদেরকে যদি কারখানার মালিক চাকুরী হতে অবসান দিতে চান , তাহলে কিভাবে অবসান দিবেন?????? আইন অনুযায়ী আমরা আজকে এই বিষয়গুলো জেনে নিই।
সার্ভিস বেনিফিট সজ্ঞাঃ
সার্ভিস বেনিফিট বলতে বুঝায় একজন শ্রমিক/কর্মচারী/ তার চাকুরীর অবসানের পরবর্তি যে সকল আর্থিক সুবিধা কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ব হয়।
বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, সংশেধিত আইন-২০১৩ অনুযায়ী চাকুরীর অবসান নীতিমালায় (ধারা-২৬ ও ২৭,) আওতায় একজন শ্রমিক/কর্মচারী স্বেচ্ছায় চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ কারুক বা মালিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান হউক নিম্ন বর্ণিত হারে সার্ভিস বেনিফিট প্রদত্ব হইবে।
১. ধারা-২৬ এর উপধারা (৪) অনুযায়ী মালিক কর্তৃক কোন স্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করা হয় সেক্ষেত্রে, মালিক শ্রমিককে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে সার্ভিস বেনিফিট  প্রদান করবে, ত্রিশ (৩০) দিনের মজুরী, অথবা গ্রাচুইটি (অথার্ৎ কোন শ্র্রমিকের প্রতি পূর্ণ বৎসর চাকুরী অথবা ছয় মাসের অতিরিক্ত সময়ের চাকুরীর জন্য তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে কিংবা একই মালিকের যে কোন প্রতিষ্ঠানে অনধিক ০৮ বৎসরের চাকুরীর ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ৩০ দিনের মজুরী অথবা ৮ বৎসরের অধিককাল চাকুরীর ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ৪৫ দিনের মজুরী যাহা উক্ত শ্রমিককে তাহার চাকুরীর অবসানে প্রদেয়, ইহা এই আইনের অধীনে শ্রমিকের বিভিন্ন ভাবে চাকুরীর অবসানজনিত কারনে মালিক কর্তৃক প্রদেয় ক্ষতিপূরন বা নোটিশের পরিবর্তে প্রদেয় মজুরী বা ভাতার অতিরিক্ত হইবে) যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে. প্রদান করিবেন এবং এই ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে।
২. ধারা-২৭  অনুযায়ী শ্রমিক কর্তৃক ঃ কোন স্থায়ী শ্রমিক মালিককে ষাট দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া তাহার চাকুরী হইতে ইস্তফা দিতে পারিবেন। সেক্ষেত্রে, মালিক উক্ত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ হিসাবে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য
ক) যদি চাকুরীর মেয়াদ পাচঁ (০৫) বৎসর বা তার অধিক কিন্তু দশ (১০) বৎসের কম মেয়াদে অবিছিন্ন ভাবে মালিকের অধিনে চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে চৌদ্দ (১৪) দিনের মজুরী ; এবং
খ) যদি চাকুরীর মেয়াদ দশ (১০) বৎসর বা তা অধিক সময় হয় তাহা হইলে ত্রিশ (৩০) দিনের মজুরী অথবা গ্রাচুইটি (অথার্ৎ কোন শ্র্রমিকের প্রতি পূর্ণ বৎসর চাকুরী অথবা ছয় মাসের অতিরিক্ত সময়ের চাকুরীর জন্য তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে কিংবা একই মালিকের যে কোন প্রতিষ্ঠানে অনধিক ০৮ বৎসরের চাকুরীর ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ৩০ দিনের মজুরী অথবা ৮ বৎসরের অধিককাল চাকুরীর ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ৪৫ দিনের মজুরী যাহা উক্ত শ্রমিককে তাহার চাকুরীর অবসানে প্রদেয়, ইহা এই আইনের অধীনে শ্রমিকের বিভিন্ন ভাবে চাকুরীর অবসানজনিত কারনে মালিক কর্তৃক প্রদেয় ক্ষতিপূরন বা নোটিশের পরিবর্তে প্রদেয় মজুরী বা ভাতার অতিরিক্ত হইবে) যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে প্রদান করবেন।
মৃত্যু জনিত ক্ষতিপূরণঃ
বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, সংশেধিত আইন-২০১৩ এর ধারা-১৯ অনুযায়ী যদি কোন শ্রমিক কোন মালিকের অধীন অবিছিন্নভাবে অন্ততঃ ০২(দুই) বৎসরের অধিককাল চাকুরীরত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন, তাহা হইলে মালিক মৃত শ্রমিকের কোন মনোনিত ব্যক্তি বা মনোনিত ব্যক্তির অবর্তমানে তাহার কোন পোষ্যকে তাহার প্রত্যেক পূর্ণ বৎসর বা উহার ০৬ (ছয়) মাসের অধিক সময় চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ (ত্রিশ) দিনের এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় অথবা কর্মকালীন দুর্ঘটনার কারনে পরবর্তীতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৪৫(পয়তাল্লিশ) দিনের মজুরী প্রদান করিবেন, এবং এই অর্থ মৃত শ্রমিক চাকুরী হইতে অবসর গ্রহন করিলে যে অবসর জনিত সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন, তাহার অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হইবে।
বরখাস্ত বা ছাটই ব্যতীত অন্যভাবে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরীর অবসানঃ
সজ্ঞা ঃ যখন কোন শ্রমিককে ছাটাই, বরখাস্ত, অপসারন ইত্যাদি অপরাধ ছাড়া চাকুরী সমাপ্তি ঘটানো হয় তখন তাকে অব্যাহতি বা টার্মিনেশন বলা হয়।
বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা-২৬ অনুযায়ী মালিক যথাক্রমে ঃ ১২০ দিনের নোটিশ প্রদান বা নোটিশ এর পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরী প্রদান করিয়া, বিনা নোটিশে কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে পারেন।
সেক্ষেত্রে, মালিক শ্রমিককে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে, ত্রিশ (৩০) দিনের মজুরী, অথবা গ্রাচুইটি (অথার্ৎ কোন শ্র্রমিকের প্রতি পূর্ণ বৎসর চাকুরী অথবা ছয় মাসের অতিরিক্ত সময়ের চাকুরীর জন্য তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে কিংবা একই মালিকের যে কোন প্রতিষ্ঠানে অনধিক ০৮ বৎসরের চাকুরীর ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ৩০ দিনের মজুরী অথবা ৮ বৎসরের অধিককাল চাকুরীর ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরী হারে ৪৫ দিনের মজুরী যাহা উক্ত শ্রমিককে তাহার চাকুরীর অবসানে প্রদেয়, ইহা এই আইনের অধীনে শ্রমিকের বিভিন্ন ভাবে চাকুরীর অবসানজনিত কারনে মালিক কর্তৃক প্রদেয় ক্ষতিপূরন বা নোটিশের পরিবর্তে প্রদেয় মজুরী বা ভাতার অতিরিক্ত হইবে) যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে. প্রদান করিবেন এবং এই ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে।
অর্জিত ছুটির হিসাবঃ
সজ্ঞা ঃ এক বৎসর অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করার পর একজন শ্রমিক/কর্মচারী যে ছুটি পায় তাকে অর্জিত ছুটি বলে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা-১১৭ অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে এক বৎসর চাকুরী পূর্ন করিয়াছে এমন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিককে পরবর্তী বারো মাস সময়ে তাহার পূর্ববর্তী বারো মাসের কাজের জন্য মজুরীসহ নিম্ন বর্ণিত হারে গননার ভিত্তিতে মজুরীসহ বাৎসরিক ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে, যথাঃ-
(ক) একজন শ্রমিক/কর্মচারী তাহার চাকুরীর বয়স অবিচ্ছিন্নভাবে এক বৎসর পূর্ন করিলে, উক্ত এক বৎসরের মধ্যে প্রতি আঠার (১৮) দিন কাজের জন্য এক (১) দিন ছুটি পাওয়ার অধিকারী হবেন।
অর্থাৎ ঃ মোট কর্মদিবস  ১৮ = যত দিন হয় (অর্জিত ছুটি)।
বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা-১১৯ অনুযায়ী ছুটি অথবা বন্ধের সময়ের মজুরী হিসাব ও প্রদান ঃ
কোন শ্রমিক/কর্মচারী ছুটির অব্যবহিত পূর্ববর্তী মাসে যে দিন গুলিতে কাজ করিয়াছেন সেই দিন গুলির জন্য প্রদত্ত, অধিকাল ভাতা ও বোনাস ব্যতিত, তাহার পূর্ন সময়ের মজুরী এবং মআর্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অন্তবর্তী মজুরী , যদি থাকে, এর দৈনিক গড়ের সমান ।
অর্থাৎ ঃ শেষ মাসে প্রদত্ব মোট মজুরী  শেষ মাসে যতদিন কাজ করেছেন = এক দিনের টাকার হিসাব (পরিমাণ)।
অতএব, অর্জিত ছুটির টাকার হিসাব= (এক দিনের টাকার পরিমাণ  যত দিন অর্জিত ছুটি বের হয়েছে) টাকা।
মালিক কর্তৃক বহিষ্কার বা চাকুরীর অবসান নীতিমালা কি ?
মালিক কর্তৃক বহিষ্কার/চাকুরীর অবসান নীতিমালা
প্রতিষ্ঠানের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে বিভিন্ন যুক্তিসংগত (কারখানার গুরুত্ব পূর্ণ সম্পদ ও ণথি নষ্ট করণ, কারখানা আইন-শৃঙ্খলা অবমাননা, প্রচলিত আইন পরিপন্থি কার্যক্রম- দাঙ্গা, সন্ত্রাস, রাষ্ট্রদ্রোহী বা অসামাজিক মূলক আচরণ, চুরি ইত্যাদি) কারণে অক্টোবর ১১, ২০০৬ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ২০০৬ সালের আইন এর ধারা-২৬ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ একজন শ্রমিককে বহিষ্কার/চাকুরীর অবসান করতে পারেন।
নীতিমালা
যদি কোন শ্রমিকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা ক্লেইম আসে তাহলে প্রশাসন বিভাগ তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত অভিযোগের সমাধানের দায়িত্বে নিয়োজিত। যদি তদন্তে উক্ত ব্যক্তি দোষী প্রমানিত হয় তাহলে প্রশাসন বিভাগ অপরাধের ধরণ অনুসারে- মৌখিক/ লিখিত সতর্কীকরণ, অথবা বহিষ্কার বা টার্মিনেট, বহিষ্কার বা টার্মিনেট সহ স্থানীয় প্রশাসন এর নিকট হস্তান্তর করতে পারেন। প্রত্যেক অপরাধী তার আত্মপক্ষ রক্ষার্থে সুনানীর সুযোগ পাওয়ার অধিকারী হবেন।
সর্তকীকরণ ঃ
বহিষ্কার বা টার্মিনেট কৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মানব সম্পদ বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগ কে নিম্নোক্ত বিষয়ে অবশ্যই সর্তক থাকতে হবে ঃ
১. বহিষ্কার বা টার্মিনেট কৃত ব্যক্তি কে চুরান্ত হিসাবের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই নিরাপত্তা জনিত সকল উপকরণ যেমনঃ- আই. ডি. কার্ড, প্রোক্সিমিটি কার্ড, চাবী, ডকুমেন্টস, স্টেশনারীজ ও দ্রব্য সামগ্রী ইত্যাদি জবঃৎরবাব বা ফেরত নিতে হবে।
২. বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তির অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য কম্পিউটারের সফটওয়্যার থেকে তার সকল ডাটা ডি-এ্যাকটিভেট করা এবং প্রতিদিন সকালে  এর  মাধ্যমে বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তি উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া।
৩. বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তি বিকল্প কোন উপায়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করার সময় বহিস্কৃত ব্যক্তি বা অবাঞ্চিত কোন ব্যক্তি পাঞ্চ করলে তৎক্ষনাত লাল বাতি জ্বলে উঠা ও ইনট্র্যুশন এলার্ম বেজে উঠার ব্যবস্থা করা।
৪. বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তির  অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য/বন্ধ করার জন্য তার ছবিসহ সকল তথ্য নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যাতে সহজেই ঐ লোকটিকে চেনা যায়।
৫. গুরুত্বর অপরাধে যাদেরকে বহিষ্কার বা টার্মিনেট করা হয় তাদের সকল তথ্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয় প্রয়োজনে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
শ্রমিক কর্তৃক ইস্তফা বা চাকুরীর অবসান সংক্রান্ত বিধি-বিধান বা নীতিমালা গুলো কি কি?
শ্রমিক কর্তৃক ইস্তফা/চাকুরীর অবসান নীতিমালা শ্রমিক কর্তৃক ইস্তফা/চাকুরীর অবসান নীতিমালা
অক্টোবর ১১, ২০০৬ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ২০০৬ সালের আইন এর ধারা-২৭ (০১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন স্থায়ী শ্রমিক  চাইলে, ষাট (৬০) দিনের লিখিত নেটিশ প্রদানের মাধ্যমে তার চাকুরীর অবসান করতে পারেন।
করণীয় ঃ ইস্তফা বা  জবংরমহ প্রদানকারী সম্পর্কে মানব সম্পদ বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগ কে নিম্নোক্ত কার্যসমূহ নিশ্চিত করতে হবে ঃ
১. ইস্তফা বা জবংরমহ প্রদানকারী কে চুরান্ত হিসাবের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই নিরাপত্তা জনিত সকল উপকরণ যেমনঃ- আই. ডি. কার্ড, প্রোক্সিমিটি কার্ড, চাবী, ডকুমেন্টস, স্টেশনারীজ ও দ্রব্য সামগ্রী ইত্যাদি ফেরত নিতে হবে।
২. ইস্তফা বা জবংরমহ প্রদানকারীর অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য কম্পিউটারের সফটওয়্যার থেকে তার সকল ডাটা ডি-এ্যাকটিভেট করা এবং প্রতিদিন সকালে  এর  মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তি উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া।
৩. ইস্তফা  প্রদানকারী বিকল্প কোন উপায়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করার সময় উক্ত ব্যক্তির পাঞ্চ করলে তৎক্ষনাত লাল বাতি জ্বলে উঠা ও ইনট্র্যুশন এলার্ম বেজে উঠার ব্যবস্থা করা।
৪. ইস্তফা বা জবংরমহ প্রদানকারীর  অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য/বন্ধ করার জন্য উক্ত ব্যক্তিদ্বয়ের নামের তালিকা নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।
অননুমোদিত অনুপস্থিত নীতিমালা
অক্টোবর ১১, ২০০৬ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ২০০৬ সালের আইন এর ধারা-২৪ এর ৪(খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন শ্রমিক কর্তৃপক্ষের বিনানুমতিতে দশ (১০) দিনের বেশী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকে তাহলে তাকে অসদাচরণের আওতাভুক্ত বলা হয়।
সর্তকীকরণ ঃ অসদাচরণের আওতাভুক্ত ব্যক্তির বিষয়ে মানব সম্পদ বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগ কে নিম্নোক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবেঃ
১. অনুপস্থিত ব্যক্তিদের নামের তালিকা করা।
২. কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত ফরমে স্থায়ী ঠিকানায় রেজিষ্ট্রী টিঠি প্রদান করা।
৩. অনুপস্থিত ব্যক্তির অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য কম্পিউটারের সফটওয়্যার থেকে তার সকল ডাটা ডি-এ্যাকটিভেট করা এবং প্রতিদিন সকালে এর  মাধ্যমে বহিষ্কার বা টার্মিনেট ব্যক্তি উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া।
৪. অনুপস্থিত ব্যক্তি বিকল্প কোন উপায়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করার সময় বহিস্কৃত ব্যক্তি বা অবাঞ্চিত কোন ব্যক্তি পাঞ্চ করলে তৎক্ষনাত লাল বাতি জ্বলে উঠা ও ইনট্র্যুশন এলার্ম বেজে উঠার ব্যবস্থা করা।
৫. অনুপস্থিত ব্যক্তির  অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য/বন্ধ করার জন্য তার ছবিসহ সকল তথ্য নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যাতে সহজেই ঐ লোকটিকে চেনা যায়।   অবহিত করণ  : ১. মানব সম্পদ বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগের প্রতিনিধি অবশ্যই উক্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিকে উক্ত বহিষ্কার বা টার্মিনেট, ইস্তফা প্রদানকারী ও  অনুপস্থিত ব্যক্তিদের নামের লিখিত তালিকা সরবরাহ করতে হবে।  ২. মানব সম্পদ বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগে অবশ্যই  সংশ্লিষ্ট বহিষ্কার বা টার্মিনেট, ইস্তফা বা  জবংরমহ প্রদানকারী ও  অনুপস্থিত ব্যক্তিদের সকল রের্কড যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।