বরিশালে শিক্ষকের বাসায় চুরি


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : মে ২৬, ২০২৩, ২:২৯ অপরাহ্ণ /
বরিশালে শিক্ষকের বাসায় চুরি

শামীম আহমেদ, বরিশাল : বরিশালের আনসার উদ্দিন মল্লিক কলেজের অধ্যক্ষ এবং সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ইতিহাস বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস আলী মিয়ার বাসায় দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এসময় বরিশাল নগরের ২৯ নম্বর ওয়াডেৃর ইছাকাঠী প্রফেসর গলির ওই বাসার ভেতরে থাকা একটি মোটরসাইকেলসহ স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে চোরচক্র।

শুক্রবার (২৬ মে) ভোররাতের কোন একসময় বাসার বেডরুমের জানালার গ্রিল কেটে এ চুরির ঘটনা সংগঠিত হয় বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।মুহাম্মদ ইউনুস আলী মিয়া জানান, রাতে বাসায় তিনি, তার বড় মেয়ে ও নাতনি ছিলেন। তবে নাতনিদের ভয় করে বিধায় তারা সবাই একরুমেই রাতে ঘুমান।

তিনি বলেন, রাত তিনটার পর অল্প কিছু সময় ঘুমিয়ে রাত সোয়া ৪ টার দিকে টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিছানা থেকে ওঠেন। রুম থেকে বের হয়েই পাশের রুমের আলমারি খোলা এবং মালামালা এলোমেলো অবস্থায় খাটের ওপর দেখতে পাই। তখন চুরির বিষয়টি বুঝতে পেরে সবাইকে ঘুম থেকে উঠিয়ে পুরো ঘর তল্লাশি করি। এসময় দেখতে পাই আমার শোবার ঘরের জানালা খুলে গ্রিল কাটা এবং ঘরের প্রধান দরজা বাহির থেকে আটকানো। আর পুরো ঘর তল্লাশি করে বাসার সামনের ড্রইং রুমে থাকা মেয়ে জামাইয়ের মোটরসাইকেলটিও দেখতে পাইনি। পরে স্বজন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে সেই দরজা খোলা হয় এবং থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হয়।

মুহাম্মদ ইউনুস আলী মিয়ার বড় মেয়ে শিক্ষিকা রোকসানা কলি বলেন, প্রাথমিকভাবে যেটুকু ধারনা করে বুঝতে পারছি তাতে চোরচক্র জানালার গ্রিল কেটে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। তবে হয়তো দেখতে বা বুঝতে পারলে চুরির সাথে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারতো। মূল্যবান মালামাল গেলেও আল্লাহ প্রাণে রক্ষা করেছেন এখন এটাই বড় বিষয় হিসেবে দেখছি। বাহির থেকে আটকানো ঘরের দরজা খুলে বাহিরে বের হয়ে আমার মেয়ের টাকা জমানো মাটির ব্যাংকটি ভাঙ্গা অবস্থায় বাড়ির সীমানার মধ্যেই দেখতে পাই, সেইসাথে বাড়ির সীমানার মধ্যে থাকা টিনের ছাপড়া ঘরটির মধ্যে সিগারেটের অংশবিশেষও দেখতে পাই।

এদিকে এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা জানিয়ে মুহাম্মদ ইউনুস আলী মিয়া বলেন, চোরচক্র মোটরসাইকেলটিসহ কয়েকভড়ি স্বর্ণালংকার ও ৩২ হাজার টাকার মতো নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

যদিও স্থানীয়রা বলছেন, ইছাকাঠির এই সড়কটিসহ শাখা সড়কগুলো দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গাচোরা, কিছুদিন আগে ড্রেনের কাজ হলেও সড়ক সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে ভাঙ্গাচোরা এই সড়কে চুরিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংগঠিত হলেও পুলিশ সেইভাবে টহল দেয় না, তাদের নজরদারীর জন্য সড়কের কোথাও সিসি ক্যামেরাও নেই। পুলিশী টহল না থাকায় চোরচক্র সুযোগ পেয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটালো।