1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
ভোলায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগে শিশু পঙ্গু, সহকারী চিকিৎসক গ্রেপ্তার - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বরগুনায় এক ইলিশের দাম ১৬ হাজার টাকা তারেক রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের নামে মামলা নেছারাবাদে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার দুমকিতে পদ্মা ব্যাংকে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে বরিশালে ১০ গ্রেড বাস্তবায়ন চেয়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন পটুয়াখালীতে প্রায় দশ লক্ষ টাকার অবৈধ জাল জব্দ, পুড়িয়ে ধ্বংস ভোলায় নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা গলাচিপায় ট্যাক্স দিন সেবা নিন বললেন গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ আকন রাঙ্গাবালীতে দুই শতাধিক পরিবারকে শীতকালীন সবজি বীজ ও চারা বিতরণ পটুয়াখালীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

ভোলায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগে শিশু পঙ্গু, সহকারী চিকিৎসক গ্রেপ্তার

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ভোলার বোরহানউদ্দিনে ভুল চিকিৎসায় তানভীর নামের আট বছরের এক শিশু পঙ্গু হওয়ার অভিযোগে একজন সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তার হওয়া শফিকুল ইসলাম বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্যাকমো (সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) হিসেবে কর্মরত। এ ছাড়া হাসপাতাল সড়কে আকিব মেডিকেল হল ও দেউলা মেডিকেল হল নামে দুটি ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ব্যক্তিগত চেম্বার করেন।

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্যক্তিগত চেম্বারে ভুল চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে পঙ্গু করেছেন। এ ঘটনায় শিশুটির মা ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়।

এরপর শুক্রবার (১৯ জুলাই) তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান। ভুক্তভোগী শিশুর নাম তানভীর। সে উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ফুলকাচিয়া গ্রামের কৃষক মোসলেমের ছেলে এবং চরমোনাই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়ালেখা করত।

তানভীরের বাবা মোসলেম অভিযোগ করে বলেন, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল তানভীর জ্বরে আক্রান্ত হলে পরদিন তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালের গেটে থাকা একটি ওষুধের দোকানের মালিকের পরামর্শে পাশের একটি চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেওয়া শফিকুল ইসলাম চারটি ইনজেকশন দেন। ইনজেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই শিশুটির গায়ে কালচে দাগ ওঠে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভোলা সদর হাসপাতাল, সেখান থেকে বরিশাল, এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ জুলাই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তানভীরের দুটি হাতের কবজি ও একটি পা কেটে ফেলতে হয়। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। মোসলেম আরও জানান, চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত তাঁর প্রায় ৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে এবং আরও প্রায় ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম ও ওষুধ দোকানের মালিক আকিবের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বিভিন্নভাবে হুমকি দেন এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান।

অভিযোগ অস্বীকার করে শফিকুল ইসলাম বলেন, তানভীরকে যখন তাঁর কাছে আনা হয়, তখন তার সারা গায়ে ফুসকুড়ি ও তীব্র জ্বর ছিল। তিনি শুধুই জ্বর ও খিঁচুনির জন্য সাধারণ চিকিৎসা দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

 

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network