1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
ট্রাম্পের সঙ্গে আরব-মুসলিম নেতাদের বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে: এরদোয়ান - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বরগুনায় এক ইলিশের দাম ১৬ হাজার টাকা তারেক রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের নামে মামলা নেছারাবাদে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার দুমকিতে পদ্মা ব্যাংকে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে বরিশালে ১০ গ্রেড বাস্তবায়ন চেয়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন পটুয়াখালীতে প্রায় দশ লক্ষ টাকার অবৈধ জাল জব্দ, পুড়িয়ে ধ্বংস ভোলায় নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা গলাচিপায় ট্যাক্স দিন সেবা নিন বললেন গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ আকন রাঙ্গাবালীতে দুই শতাধিক পরিবারকে শীতকালীন সবজি বীজ ও চারা বিতরণ পটুয়াখালীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

ট্রাম্পের সঙ্গে আরব-মুসলিম নেতাদের বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে: এরদোয়ান

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক// তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে। বৈঠকের ফলাফলে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

 

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই বৈঠক হয়। ট্রাম্পও বৈঠক নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল ছাড়া সব শক্তিধর দেশের নেতাদের নিয়ে এ বৈঠক সফল হয়েছে। এই সেই দল, যারা সমস্যার সমাধান করতে পারে।

 

তবে গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ডজন ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন, আর হাজার হাজার মানুষকে জোরপূর্বক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

 

এ বৈঠকে অংশ নেন মিসর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নেতারা। যদিও বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, ট্রাম্প চেয়েছিলেন আরব ও মুসলিম দেশগুলো গাজায় সেনা পাঠাতে সম্মত হোক। এতে ইসরায়েল সেখান থেকে সরে যেতে পারবে এবং উপত্যকার পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের অর্থ জোগাড় করা সম্ভব হবে।

 

আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম জানায়, বৈঠকের আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল গাজার যুদ্ধ বন্ধ করা ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা। পাশাপাশি গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং তীব্র মানবিক সংকট মোকাবিলাও আলোচনায় অগ্রাধিকারে ছিল।

 

পরিকল্পনায় ইসরায়েলের সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত রাখার বিষয়েও ভাবা হচ্ছে, যদিও ইসরায়েল আগেই জানিয়েছে তারা এটি মানবে না। পরিকল্পনায় হামাসের কোনো ভূমিকা নেই; যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বলছে, হামাসকে অবশ্যই নিরস্ত্র ও নির্মূল করতে হবে।

 

এই বৈঠক এমন সময় হলো, যখন গাজায় দুই বছরের যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে এবং বহু দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এসব স্বীকৃতিকে সমালোচনা করেছে। গাজায় এ পর্যন্ত অন্তত ৬৫ হাজার ৩৮২ জন নিহত হয়েছেন।

 

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে দেশটি ক্রমেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একা হয়ে পড়ছে। ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগালসহ অন্যান্য দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলেও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এটি হামাসকে ‘হত্যাকাণ্ডের পুরস্কার’ দেওয়ার মতো। ট্রাম্প তার জাতিসংঘ বক্তৃতায় যুদ্ধের ‘তাৎক্ষণিক’ সমাপ্তির আহ্বান জানান, কিন্তু গাজার মানবিক সংকট নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

 

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অবশ্য এর উল্টো মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র পাওয়া কোনো পুরস্কার নয়, বরং অধিকার।

 

আল-জাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বেস বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের প্রধান সমর্থক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থ ও অস্ত্রের সরবরাহও তাদের কাছ থেকেই আসে। তাই একমাত্র যিনি পরিস্থিতি বদলাতে পারেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প।

 

এর আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের এক সম্মেলনে, যা ফ্রান্স ও সৌদি আরব আয়োজন করে, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো জানান, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত তার দেশ।

সূত্র: আল-জাজিরা

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network