
১. পূর্ণিমার “জো”-তে প্রজনন পরিস্থিতি
এবার পূর্ণিমার “জো”-তে প্রজননের জন্য প্রস্তুত ইলিশের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। স্ট্রিপিং করার চেষ্টা করলেও সহজে স্পার্ম বা ডিম বের হচ্ছিল না।
২. অমাবস্যার “জো”-তে প্রজনন সক্ষমতা ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে
অমাবস্যার “জো”-তে ধরা পড়া ইলিশের অধিকাংশই প্রজননের পিক টাইমে ছিল। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে।
ক) কিছু পুরুষ ও স্ত্রী মাছ সদ্য প্রজনন সম্পন্ন করেছিল।
খ) স্ত্রী মাছের জননছিদ্রের সাথে পুরুষ মাছের স্পার্ম লেগে থাকতে দেখা গেছে।
গ) জাল থেকে ছাড়ানোর পরপরই অধিকাংশ পুরুষ ইলিশের শরীর থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাদা স্পার্ম বের হয়ে নৌকায় লেগে যাচ্ছিল, যা তাদের পিক ব্রিডিং নির্দেশ করে।
ঘ) স্ত্রী মাছকে হালকা স্ট্রিপিং করলেই সহজে ডিম বের হয়ে আসছিল এবং তাদের জননছিদ্র লাল হয়ে বাইরে কিছুটা বের হয়ে ছিল।
৩. পুরুষ ইলিশের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়
এবার জালে ধরা পড়া ইলিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুরুষ মাছ ছিল—যা ভোলা ও বরিশাল অঞ্চলে গত ৯ বছরের চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতায় আগে দেখা যায়নি। একই সাইজের পুরুষ মাছ ছিল তুলনামূলকভাবে চিকন এবং স্ট্রিপিং করলে ঘন, ধবধবে সাদা স্পার্ম বের হচ্ছিল। স্ত্রী মাছগুলো ছিল মধ্যভাগে তুলনামূলকভাবে মোটা এবং স্ট্রিপিং করলে সহজেই ডিম বের হচ্ছিল।
৪. গড় আকার ছিল তুলনামূলকভাবে ছোট
চলতি বছরের ইলিশের গড় সাইজ ছিল গত ৯ বছরের পর্যবেক্ষণে দেখা সবচেয়ে ছোট।
৫. প্রজননক্ষম ইলিশের গড় আকার
প্রজননক্ষম ইলিশের গড় আকার ছিল ৬.৫ ইঞ্চি থেকে ১১ ইঞ্চি পর্যন্ত। এমনকি ৬.৫ ইঞ্চি সাইজের পুরুষ ও স্ত্রী ইলিশের ক্ষেত্রেও হালকা স্ট্রিপিংয়ে স্পার্ম এবং ডিম সহজেই বের হয়ে আসতে দেখা গেছে।
➡️পর্যবেক্ষণ স্থান
সুগন্ধ্যা, সন্ধ্যা ও আড়িয়াল খাঁ নদী
বাবুগঞ্জ, বরিশাল
➡️সময়কাল
▪ ০৪.১০.২৫ থেকে ২৫.১০.২৫ পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়
▪ ০৭.১০.২৫ তারিখ ছিল পূর্ণিমা
▪ ২০.১০.২৫ তারিখ ছিল অমাবস্যা
➡️পর্যবেক্ষণকারী:
এ. এফ. এম. নাজমুস সালেহীন
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, বাবুগঞ্জ, বরিশাল
বিসিএস (মৎস্য)
বি.এসসি (অনার্স) (মৎস্যবিজ্ঞান), এম.এস (মৎস্যবিজ্ঞান)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।