
নিজস্ব প্রতিবেদক : গণতন্ত্র, ন্যায় ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান।
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে বুধবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাজিহার গ্রামের নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবেগাল্পুত হয়ে ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান বলেন-বিগত ওয়ান ইলেভেনের সময় নিজেকে রক্ষা করতে তৎকালীন বরিশাল-১ আসনের সদ্য সাবেক সাংসদ যখন দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেন, তখন এখানে বিএনপির নেতৃত্ব শুন্য হয়ে পরে। দলের সেই ক্লান্তি লগ্নে আমি (সোবহান) গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির দায়িত্বগ্রহণ করে দলকে সু-সংগঠিত করে রাখি।
তিনি আরও বলেন-বিগত পতিত সরকারের ১৭ বছর বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম। এ কারণে একাধিকবার আমার ওপর হামলা চালানো হয়। আমার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ রিমান্ডের নামে আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে হাতের একটি আঙ্গুল ভেঙ্গে দেয়। যার ব্যাথায় এখনও আমি রাতে ঘুমাতে পারিনা। দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিনে বের হয়ে পূর্ণরায় নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে সর্বদা জড়িয়ে রেখেছি।
ইঞ্জিনিয়ার সোবহান বলেন-হামলা, মামলা, নির্যাতন ও কারাভোগ সবকিছুই হয়েছে একমাত্র বরিশাল-১ আসনের বিএনপির নেতাকর্মীদের সু-সংঘঠিত করে রাখাসহ হাসিনার সরকার বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনার নেতৃত্ব দেয়ার কারণে।
আবদুস সোবহান বলেন-আমার শেষ বয়সে ইচ্ছে ছিলো উন্নয়ন বঞ্চিত গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় সঠিকভাবে কাজ করে উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে জড়িয়ে রাখাসহ বিএনপির সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। যেকারণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলাম।
সেখানে দল থেকে সম্ভ্রাব্য একটি খসরা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে সেই ওয়ান ইলেভেনের সময় দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা ব্যক্তির নাম এসেছে। যা দেখে বরিশাল-১ আসনের তৃণমূল পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থকদের মধ্যে যেমন চরম হতাশা বিরাজ করছে, তেমনি বিগত সময়ে এ অঞ্চলের নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ফের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই আমি দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে জোর দাবি করছি, দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থক থেকে শুরু করে সর্বসাধারণের প্রাণের দাবি হিসেবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খসরা তালিকার প্রার্থী বদল করে দলের কারণে যারা হামলা, মামলা, নির্যাতন ও কারাভোগ করেছেন তাদের হাতেই যেন ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেওয়া হয়। তবেই বিএনপির প্রতি দলের দুর্দীনের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের যেমন আস্থা ও ভালবাসা বাড়বে, তেমনি বরিশাল-১ আসনে বিএনপি প্রার্থীর জয়লাভ সহজ হবে।