
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ব ‘এ্যন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স’ সপ্তাহ উপলক্ষে বরিশালে এক আলোচনা সভায় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও উপকারভোগীগন এ্যান্টিবায়োটিকের ঢালাও ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে আলোকপাত করে তা প্রতিরোধে সতর্ক হবার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বরিশালের সদর উপজেলার সাপাহার এলাকার এক অজপাড়া গাঁয়ে প্রাণী দেহে ঢালাওভাবে এ্যন্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের বরিশালের বিভাগীয় পরিচালক মো. মফিজুল হক।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বরিশাল কৃতিৃম প্রজনন কেন্দ্রের উপ পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমদ ও জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সুশান্ত দাশ।
আলোচনা সভায় কয়েকজন খামারী ও গণমাধ্যম কর্মীসহ প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞগগন এ্যন্টিবায়োটিকের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্ক আলোকপাত করেন। সভায় বিভাগীয় পরিচালক মফিজুল হক জানান, ব্যাপক জনবল ঘাটতির মধ্যেও আমরা গৃহস্থ পর্যায় থেকে খামাড় পর্যন্ত সকলের কাছেই প্রাণী সম্পদ উন্নয়নে প্রযুক্তি পৌঁছে দিচ্ছি।
তিনি নিবন্ধিত চিকিৎসকের বাইরে কাউকে দিয়ে হাঁস-মুরগী থেকে শুরু করে গবাদিপশুর চিকিৎসায় না করানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, একজন পরিপূর্ণ চিকিৎসকই পারেন এসব প্রাণীর সঠিক ও মান সম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে। কিছু অশিক্ষিত কোয়াক প্রাণিদেহে ঢালাওভাবে এ্যন্টিবায়োটিক প্রয়োগের ফলে, ঐসব প্রাণী থেকে মানব দেহেও তার ক্ষতিকর প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে জানান তিনি। এসব বিষয়ে অবিলম্বে সজাগ না হলে আগামীতে আমাদের প্রাণী সম্পদ থেকে শুরু করে মানবদেহে যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে, তা থেকে উত্তরণ অত্যন্ত জটিল ও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর এনিমেল হেলথ, ইউএনইপি, বিশ^ খাদ্য সংস্থা-হু এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র সার্বিক সহযোগিতায় এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বিপুলসংখ্যক নারী সহ হাঁস-মুরগি, খামাড় ও গবাদি পশর খামারীরাও অংশ নেন।