
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাকেরগঞ্জের গারুরিয়ায় একটি খালে সেতুর অভাবে (৮) আট বছর অত্র জনপদের পাঁচটি (৫) টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে ।
স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় নির্মিত নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই পারাপারের একমাত্র অবলম্বন।
উপজেলার গারুরিয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মধ্য বর্তী হেলেঞ্চা – সাহেবপুর ধনতলা খালের সেতুটি দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ভেঙে খালের পানিতে পড়ে আছে। স্থানীয় কিছু জনসাধারণ তাদের নিজস্ব অর্থায়নে বাঁশ দিয়ে একটি বাঁশের সাকো নির্মাণ করে চলাচল করে আসছে।
বাঁশের মাধ্যমে তৈরিকৃত সাঁকোটি বর্তমানে চলাচলের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং যে কোন সময়ে বড় ধরনের বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
অত্র ধনতলা খালের দুপাশের পাঁচটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন প্রয়োজনের তাগিদে উপজেলা সদর বাকেরগঞ্জ এ আসা-যাওয়া করে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ, খয়রাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, খয়রাবাদ বাজারে, খয়রাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,সাহেবপুর মদিনাতুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা,সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে ছাত্র – ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন চলাচল করে। কিন্তু বিগত আট বছর ধরে খালের সেতুটি ভেঙে পানিতে পরে আছে। ফলে দু’ পাশের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে অসুস্থতাজনিত কারনে জরুরি প্রয়োজনে রোগী হাসপাতালে স্থানান্তর করতে তিন – চার কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়।
এলাকার জনসাধারণের প্রশ্ন আর কত বছর অতিক্রম করলে তবে নির্মিত হবে সেতুটি।
বিগত আট বছর আগে অতিরিক্ত লাকরী বহন করা ভারী ওজনের একটি ট্রাকের চাপে অত্র খালের সেতুটি ভেঙ্গে পানিতে পরে রয়েছে। সেই থেকেই বাঁশের সাকোই সংশ্লিষ্ট
এলাকার মানুষের পারাপারের নিত্য সঙ্গী। ভাঙ্গা সেতুটি বিভিন্ন অংশ বিশেষ করে লোহার রড,ইট – পাথরের ভাঙ্গা অংশ অগোছালো ভাবে খালের পানিতে পরে থাকায় সাকো পারাপারের সময় যেকোনো মুহূর্তে বৃদ্ধ, নারী,শিশু নিচে পড়ে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনায় পরা সহ জীবন হানি ঘটতে পারে।
অত্র ধনতলা খালের সেতুর বিষয়ে জানার জন্য বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটা সুপারিশ পত্র পাঠানো হয়েছে।