
বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি// আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন অগ্নিসেনা সোস্যাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা টিএম জহিরুল হক তুহিন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
টিএম জহিরুল হক তুহিন বলেন, এলাকার উন্নয়নে সঠিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। অতীতেও বাকেরগঞ্জবাসীর পাশে ছিলাম, আজীবন তাদের পাশে থাকবো। ইনশাআল্লাহ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি আমার মাতৃভূমি বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবো।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা এবং এলাকায় আমার সংগঠন অগ্নিসেনা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন ও ন্যায় সংঘ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছি। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে ছোটবেলা থেকেই জড়িত। সাফল্য রাতারাতি আসে না। নতুন কোনো উদ্যোগ শূন্য থেকেই শুরু করতে হয়।’ বিগত দিনে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছি। তখন ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার দিনের ভোট রাতে নিয়ে আমাকে হারিয়েছে। তাই জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। যেহেতু আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী। আগামী রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান যদি দল থেকে মনোনয়ন দেয়, সেক্ষেত্রে আমি অবশ্যই নির্বাচন করবো।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে টিএম জহিরুল হক তুহিন আরও বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। জনগণের ভোটার অধিকার ফিরিয়ে দিতে ইতিপূর্বে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তৎকালীন সময় দিনের ভোট রাতে নিয়ে নির্বাচনে তাকে হারিয়েছে। সাম্প্রতিক সময় সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান অর্থের বিনিময়ে বিনিময়ে বিতর্কিত বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে সোহেল ফরাজী, কবাই ইউনিয়নে কামরুল হাসান রুবেল ও পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নে ফারুক মৃধাকে সভাপতি করেছেন। যে কারণে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়ন দিলে বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।
প্রসঙ্গত, টিএম জহিরুল হক তুহিন বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি নিজ উপজেলা বাকেরগঞ্জ এবং ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন। বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত বাকেরগঞ্জে তিনি যদি প্রার্থী হন অনেক হিসাবনিকাশ পাল্টে যাবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।