
উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার উজিরপুরে অপহরণ মামলা দায়ের করায় বাদীর স্ব-পরিবারকে হত্যা মামলায় জড়ানোর হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।
২৪ আগষ্ট রবিবার বেলা ১১ টার দিকে শিকারপুর বন্দরে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের পূর্ব মুন্ডপাশা গ্রামে অপহরণ মামলার বাদী নাছিমা আক্তার ও তার স্বামী মোঃ রুহুল আমিন মুন্সি।
এসময় লিখিত বক্তব্যে পাঠ করে রুহুল আমিন মুন্সি বলেন আমার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী তায়েবা আক্তার মুন(১৫)কে আমাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির কামরুল ইসলামের কু-পরামর্শে তার ভাই লম্পট মোঃ নাঈম ইসলাম(২৩) গত ৫/৩/২০২৫ ইং তারিখ দুপুর দেড়টার দিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় আমার মেয়ের কাছে পরিহিত স্বর্ণের চেইন,আংটি,কানের দুলসহ কয়েক লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার ছিলো। সে ঘটনায় অভিযুক্ত নাঈম ইসলাম ও তার ভাই কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আমার স্ত্রী নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে ৬/৩/২০২৫ ইং তারিখ উজিরপুর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন এবং আমার মেয়েকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এমনকি অভিযুক্ত নাঈম ইসলাম হাজতবাস করছে। এছাড়া অপহরণ মামলা দায়ের করায় আমাদের পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আসামির পরিবার বিভিন্ন সময় আমাদেরকে হত্যা,গুমসহ বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে আসছিলো এবং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এদিকে ২১/১১/২০২৪ ইং তারিখ সকাল ১০ টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন কাওছার ইসলাম নিশাত (৭) নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজির পরে ২৪/১১/২০২৪ ইং প্রতিবেশী মোস্তফা সরদারের বাড়ির সম্মুখে একটি ডোবা থেকে ওই শিশুর অর্ধগলিত ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত করে লাশ দাফন করা হয়। সে ঘটনায় ৬/৮/২০২৫ ইং তারিখ কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। মূলত আমার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণের ঘটনায় মামলা দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আসামির পরিবার একটি কুচক্রী-মহলের কু-পরামর্শে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং হত্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হোক এবং অপ-প্রচারকারীদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অপহরণ মামলা দায়ের করায় হত্যা মামলায় জড়ানো পায়তারা চালাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। স্থানীয় ইউনুস মুন্সি, সেলিম হাওলাদার, জলিল খানসহ একাধিক ব্যাক্তি সাংবাদিকদের জানান শিশু কাওছার ইসলাম নিশাত মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো। তাকে কেউ হত্যা করেনি। সে খেলতে গিয়ে ডোবায় পরে গিয়ে মৃত্যুবরন করে। অপহরণ মামলা দায়ের করায় হাজতবাস করে জামিনে এসে কামরুল ইসলাম কতিপয় অসাধু চক্রের কূ-পরামর্শে হত্যা মামলায় জড়ানোর পায়তারা চালাচ্ছে। মিথ্যা অভিযোগ তুলে ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে নিরপরাধ কাউকে হত্যা মামলায় জড়ানো হলে তা এলাকাবাসী মেনে নিবেনা। অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি।
উজিরপুর মডেল থানার এসআই আলমগীর হোসেন( মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা) মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলছে। অফিসার ইনচার্জ জানান বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হবে।