
উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন সবুজ সিকদার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে নগদ ১০ লক্ষ টাকা ও ২ শত কোটি টাকার চেক হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুত্রে জানা যায় কামাল হোসেন সবুজ সিকদার নিজেকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীর ভাই পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে তার সহযোগী আরিফুল ইসলামকে নিয়ে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা.শেখ গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে নগদ ১০ লক্ষ টাকা ও ২ শত কোটি টাকার চেক হাতিয়ে নিয়েছে। এ খবরে পুড়ো উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ইতিমধ্যে দুদক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। উজিরপুর উপজেলার একাধিক সুত্রে জানা যায় আওয়ামী লীগের দোসর উজিরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি কামাল হোসেন সবুজ সিকদার তৎকালীন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও সাহারা খাতুনের দাপট দেখিয়ে উজিরপুরে বিভিন্ন দূর্নীতি, অনিয়ম, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন।
এছাড়া উজিরপুর উপজেলা বিআরডিবির সভাপতি ও উজিরপুর আলিম মাদ্রাসার সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত হয়ে গভীর নলকূপ দেয়ার নামে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এবং মাদ্রাসায় নিয়োগ বানিজ্য,টেন্ডারবাজি, চাদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে পাড়ি জমায়। এরপরে সবুজও উজিরপুর থেকে লাপাত্তা হয়। পরে সে ঢাকায় গিয়ে পুনরায় প্রতারণার ফাঁদে ফেলে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে নগদ ১০ লক্ষ টাকাসহ ২ শত কোটি টাকার চেক হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়।
সবুজ সিকদার অবৈধ ভাবে গড়েছেন আলিসান বাড়িসহ সম্পদের পাহাড়। এ যেন দূর্নীতির সাতকাহন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত কামাল হোসেন সবুজের গ্রেফতারের সংবাদ পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত কামাল হোসেন সবুজ সিকদার পালিয়ে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে ওই দূর্ণীতিবাজ আওয়ামীলীগের দোসর কামাল হোসেন সবুজকে অচিরেই গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে উজিরপুরবাসী