
বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি- বরিশালের বাকেরগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতার পূজার অনুদান প্রদানের সময় বিএনপি নেতার উপস্থিতি টক অব দ্যা ভিলেজে পরিণত হয়েছে। সুত্রে জানা যায়, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সারাদেশে ছাত্রলীগ নেতারা পালিয়ে থাকলেও বাকেরগঞ্জের বেলায় ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজেরা প্রকাশ্যে উপস্থিত থাকতে না পারলেও নিকট আত্মীয়-স্বজন অথবা তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
সদ্য সমাপ্ত শারদীয় দূ্র্গাপূজা উপলক্ষে গত মঙ্গলবার অষ্টমী পূজার দিন উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের ৫ টি পুজা মন্ডপে নিষিদ্ধ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেন পলাশের পক্ষে নগদ ৩ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন উপজেলা জাতীয় পার্টি নেতা মোঃ মামুন খান। ওইদিন ভান্ডারীকাঠী মতুয়া মিশন সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্ডপে ছাত্রলীগ নেতার পক্ষে আর্থিক অনুদান প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন গারুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মোতালেব খান।
ছাত্রলীগ নেতার আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতার উপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। যে কোন সময় তাদের এ ক্ষোভ বিক্ষোভে রূপ নিতে পারে। এ প্রসঙ্গে জানাতে চাইলে মোঃ মামুন খান জানান, ছাত্রলীগ নেতা পলাশের পক্ষে গারুড়িয়া ইউনিয়নের ৫টি মন্দিরে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। মতুয়া মিশন সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে আর্থিক অনুদান প্রদানের সময় মন্দিরটি বাড়ির নিকটবর্তী হওয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোতালেব খান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত গারুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মোতালেব খান অভিযোগ অস্বীকার বলে করে বলেন ছাত্রলীগ নেতার পূজায় অনুষ্ঠানে আর্থিক অনুদান প্রদানের বিষয়টি তার জানা নেই। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মিজান বলেন, কোন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতার উপস্থিতি মোটেই কাম্য নয়। যদি কোন বিএনপি নেতা দলীয় শৃঙ্খলা অমান্য করে আত্মীয়-স্বজন পরিচয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার আর্থিক অনুদান প্রদানের সময় উপস্থিত থাকেন তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে দলীয় ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।