1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সংঘর্ষে বন্ধ হাসপাতাল, চিকিৎসা নিতে আসা একজনের মৃত্যু - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
পটুয়াখলীতে ইয়াবাসহ যুবক আটক, ছয় মাসের কারাদণ্ড কাউখালীতে নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার পাঁচদিন পার হলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ নির্যাতন করে আমার হাতের আঙ্গুল ভেঙে দেয়া হয় : আগৈলঝাড়ায় ইঞ্জিনিয়ার সোবহান বানারীপাড়া উপজেলায় তাঁতীদলের ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন ইন্দুরকানীতে স্থায়ীত্বশীল তামাক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরী বিষয়ক সভা বাকেরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর মুলাদীতে শিক্ষার্থীরা পেল অর্থসহ কুরআন শরীফ ফরচুন-বরিশাল ডিআরইউ মিডিয়া ক্রিকেট : অঘটনের শিকার প্রতিদিনের বাংলাদেশ জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তালতলীতে নৌ র‍্যালি: গ্যাস সম্প্রসারণ বন্ধের দাবি

অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সংঘর্ষে বন্ধ হাসপাতাল, চিকিৎসা নিতে আসা একজনের মৃত্যু

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশালের গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালের মধ্যে জরুরি বিভাগের সামনে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের সাতজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে সংঘর্ষ চলাকালীন পুরো হাসপাতালজুড়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে যায়। এসময় আগত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা রোগী মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে যত্রতত্রভাবে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পাকিং করে রাখার কারণে আগত রোগী ও তাদের স্বজনদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে সদ্য যোগদান করা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তিনটি করে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো হাসপাতাল কম্পাউন্ডে রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। অন্যসব বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের বাইরে রাখতে বলেন।

হামলায় আহত ও প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স মালিক জাবেদ সেলিম অপর অ্যাম্বুলেন্স মালিক জামাল সিকদারকে তার দুইটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি ভিতরে রাখতে বলেন। এনিয়ে উভয়েরমধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরলে সেলিম ও জামালের সমর্থকরা হামলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন।

এসময় হাসপাতালের অভ্যন্তরের জরুরি বিভাগের সামনে উভয়ের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সময় আগত রোগী ও তাদের স্বজনরা দ্বিগবিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসাসেবা।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালীন হাসপাতালে আগত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত হাফিজুর রহমান (৬০) উপজেলার দিয়াশুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ আকনের ছেলে।

তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা রোগী মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন হাসপাতালে আনার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তারা ইসিজি করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হামলায় আহত জাবেদ সেলিমের ভাই সালাম বেপারি জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশ অন্যসব অ্যাম্বুলেন্স চালকদের জানাতে গেলে পরিকল্পিতভাবে জামাল সিকদার ও তার ছেলেরা হামলা চালিয়ে সেলিমকে বেধম মারধর করেছে।

হামলার খবর পেয়ে তিনি (সালাম) ও তার স্বজন ইলিয়াস সরদার ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের ওপরও হামলা চালিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত জাবেদ সেলিমকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরদিকে জামাল সিকদারের ছেলে সাইদ সিকদার জানান, সেলিম ও তার লোকজনে অশ্লীলভাষায় তাদের গালাগাল করার প্রতিবাদ করায় হামলা চালিয়ে তাকে (সাইদ) সহ তার বাবা জামাল সিকদার, ভাই শাহাদাত সিকদার ও হেলপার রাহাত ঘরামীকে মারধর করে আহত করেছে।

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহতা জারাব সালেহিন বলেন, ‘হাসপাতালের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষ চলাকালীন তাৎক্ষণিক বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। রোগীদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে সবধরনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network