
মোঃ সাদ্দাম হোসেন //আজ সোমবার সারাদেশব্যাপী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালন করছেন। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতোই বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া নয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরাও এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
শিক্ষকরা জানান, তারা বহুদিন ধরে বেতন বৈষম্য নিরসন, ইনক্রিমেন্ট, পদোন্নতি ও অন্যান্য ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন। এর পাশাপাশি তারা ২০% বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির দাবি এবং ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা চালুর দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার তাদের ন্যায্য দাবির বিপরীতে মাত্র ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া ঘোষণা করেছে, যা তারা “তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়” বলে মন্তব্য করেছেন।
এছাড়া তারা আরও জানান, গতকাল ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে আজকের এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, “আমরা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার কাজে নিয়োজিত। অথচ আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে, এমনকি মারধরের শিকার হতে হচ্ছে—এটা দুঃখজনক। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন দ্রুত আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করে শিক্ষাঙ্গনে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনে।”
সহকারী শিক্ষক আব্দুর রব বলেন, “শিক্ষকরা কখনো অরাজনৈতিক বা সহিংস পথে যায় না। কিন্তু গতকাল ঢাকায় আমাদের সহকর্মীদের উপর হামলা এবং গ্রেপ্তারের ঘটনা অত্যন্ত অন্যায় ও অমানবিক। আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
সহকারী শিক্ষক মোঃ সোহাগ বলেন, “আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করি। কিন্তু আজ নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে হচ্ছে—এটা অত্যন্ত কষ্টের বিষয়। আমরা ২০% বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি ও ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতার দাবি জানালেও সরকার মাত্র ৫০০ টাকা ঘোষণা করেছে, যা তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা চাই সরকার দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষক সমাজকে সম্মান ফিরিয়ে দিক।”