বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি: দেশকে আবারও গণতন্ত্রের পথে ফেরাতে ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে নারীদের ভূমিকা অপরিহার্য। রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা শুধু পুরুষ নয়, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমান অধিকার নিশ্চিত করার এক নতুন অঙ্গীকার।” — শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে বরিশালের বাবুগঞ্জে এক নারী সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান।

তিনি আরও বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করেছিলেন, উপবৃত্তি দিয়েছিলেন— যাতে আজকের মেয়েরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলটসহ বিভিন্ন পেশায় কাজ করতে পারে। আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই প্রথম নারীর ক্ষমতায়ন ও সম্মান প্রতিষ্ঠার ভিত্তি তৈরি করেছিলেন।

বেগম সেলিমা রহমান বলেন, “এই দীর্ঘ ১৭ বছর আপনারা কেউ শান্তিতে ঘুমাতে পারেননি। ধানের শীষকে জোর করে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে একটি ডাইনি সরকার দেশে স্বৈর দুঃশাসন চালিয়েছে। আপনাদের স্বামী, সন্তান, ভাই গুম হয়েছেন, কেউ খুন হয়েছেন, মা-বোনেরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখন সময় এসেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।

তিনি নারীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “নারী সমাজ জাগলে দেশ জাগে— তাই রাষ্ট্র মেরামতের আন্দোলনে প্রতিটি নারীকে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা’ সম্পর্কে নারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ বর্ণাঢ্য নারী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

দুপুর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেত্রী-কর্মীদের আগমনে সমাবেশস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজের নির্বাচিত সাবেক ভিপি ও বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসরত হোসেন কচি তালুকদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ১নং সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ, মুলাদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলজাজ্ব আব্দুস সাত্তার খান, বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম ভিপি লিপন, ও বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আওলাদ হোসেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মহিলা দলের সাবেক সহ-সভাপতি কুলসুম বেগম এবং সঞ্চালনা করেন মহিলা দলের নেত্রী কাকলি আক্তার।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সহ-সভাপতি শফিউল আজম, বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য হাবিবুর রহমান, রিপন মেম্বার, দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন খান, মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহাবুব তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সেলিম সরদার, বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও হারুন-অর-রশিদ, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আব্দুর রব প্যাদা, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বিশ্বাস, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ হোসেন, টোকন শরীফ ও পারভেজ খান, , বিএনপি নেতা রহিম ডাক্তার, যুবদলের রহমতপুর ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল করিম টিপু।

রহমতপুর ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আরিফ হোসেন , ওমর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান হাওলাদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রেজাউল হাসান রেজা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলাউদ্দিন, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আরিফুর রহমান রতন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক হানিফ হাওলাদার, সহ-সভাপতি মিরাজ সরদার, যুগ্ম আহবায়ক আরিফুর রহমান সুমন জোমাদ্দার, রহমতপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য সচিব শাহআলম বাবু, তাতী দলের সভাপতি জামাল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান রবিন ও জহিরুল ইসলাম জহির, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, জিয়া মঞ্চের উপজেলা সভাপতি বাহাদুর তালুকদার, ছাত্রদল নেতা সায়েম সহ দলীয় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।